ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র অঙ্গণের সবার আবেদন পেলে বছরে ভারতীয় দশটি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব। যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি ও প্রযোজক সমিতি- এ চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেব। সবাই লিখিত দিতে হবে। কারণ, অতীতে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সমিতি চাচ্ছে। কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।’
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাথে মত বিনিময়তাদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি, সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে ও আরো দরখাস্তকারি উৎসাহী আছেন।’
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, চলচ্চিত্রের শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্ক্রিন অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তাই, কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুণ:অর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই। মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে পাঁচ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে চার শতাংশ সুদে এ ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ নয় শতাংশ।’