রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সরকারের প্রভুভক্তির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: প্রভুভক্তির কারণে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান করতে পারছে না মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘জাতিসংঘের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা উঠলে সেখানে চীনসহ ভারত ও রাশিয়া মায়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করায় বাংলাদেশ এ সংকট সমাধান করতে পারছে না। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর পার্শ্ববর্তী দেশ প্রীতির কারণে।’

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জাতীয় কমিটি।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বন্ধু শূন্য একটি দেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে পৃথিবীর দুয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র ছাড়া কেউ সরাসরি বাংলাদেশকে সমর্থন করেনি। সেই দুয়েকটি রাষ্ট্রও তেমন ক্ষমতাধর নয়।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের সীমান্তে কোন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। অথচ, এ সরকার (আওয়ামী লীগ) বলছে ভারত না চাইতেই আমরা সব দিয়েছি। এ সরকার যা কিছু করছে, তা প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য।’

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এখনো স্বাধীন নই। যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, ভোটাধিকার থাকে না, তাদের কাছ থেকে জনকল্যাণমূলক ও দেশের স্বার্থে কোন কিছু আশা করা যায় না।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তখন তারা নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায় করতে পারবে। আজকে এ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বার বার বলা হচ্ছে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। কিন্তু, তারা ভ্রুক্ষেপ করছে না। বরং, ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপি করে ফের একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায় ‘

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ দেশ কখনোই স্বাধীন হোক সেটা চায়নি। তাজউদ্দিন আহমদ টেপ রেকর্ডার নিয়ে শেখ মুজিবের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, আপনি স্বাধীনতা ঘোষণা করুন। তখন তিনি (শেখ মুজিব) বলেছিলেন, আমি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হতে চাই না। জিয়াউর রহমান সে দিন স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হত না। অথচ, এ আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করে।’

মেজর হাফিজ বলেন, ‘২০২৩ সালে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। আর এ যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবেন বিএনপি ও তারেক রহমান। এ যুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্ত করা হবে। আমরা যে বীরের জাতি, তা ফের প্রমাণ করতে হবে।’

আলোচনা সভায় লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক ও কলামিস্ট কালাম ফয়েজী।

সভাপতির বক্তব্যে হারুনূর রশিদ জাতিসংঘসহ বহু পাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ও মায়ানমারের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে দ্রুততার সাথে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম, জাসদের সহ-সভাপতি এম জাবির, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, ৯০’র ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম শিশির, মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, ভোলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি এনামুল হক, নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক শামসুদ্দিন, প্রজন্ম একাডেমির সদস্য রমিজ উদ্দিন রুমি।