শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সার্কভুক্ত দেশে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করলে অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে

শুক্রবার, জুলাই ১২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘সার্কভুক্ত দেশে স্থানীয় মুদ্রা বাণিজ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় মুদ্রা চালুর ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা, নীতি উদ্ভাবন এবং কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে আরও স্থিতিস্থাপক ও সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতির পথ প্রশস্ত করা সম্ভব। অতএব, সার্কভুক্ত দেশে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করলে অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে।’

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে সিটির রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউর মোহনা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ট্রেডিং ইন লোকাল কারেন্সিস: প্রভলেমস অ্যান্ড প্রসফেক্টস ফর দ্যা সার্ক কান্ট্রিজ’ শীর্ষক সার্ক ফাইন্যান্স সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে রির্জাভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার চীফ জেনারেল ম্যানেজার আদিত্য গায়হা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খয়েরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর মো. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক সায়েরা ইউনুস বক্তৃতা করেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আব্দুর রউফ তালুকদার আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলার দীর্ঘ সময় ধরে আধিপত্য বিরাজ করে আসছে। বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ লেনদেন এ মুদ্রার মাধ্যমে হয়ে আসছে। কিন্তু, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও অর্থনীতি নিষেধাজ্ঞার আলোকে এবং ভারসাম্যহীনতার ফলে বহু দেশ একটি একক মুদ্রার উপর নির্ভরশীল না থেকে বিকল্প পথ খুজে বের করার জন্য চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমে আসবে। এতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়বে এবং বিনিময় ঝুঁকি ও লেনদেনের খরচ কমবে। নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য চালনা করলে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারি। স্থানীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ হল অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সহযোগিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা। সেক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও রুপান্তরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে ও বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।’