রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সিআইপি হিসেবে ফের স্বীকৃতি পেলেন রূপালী চৌধুরী

শুক্রবার, মে ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: শিল্প খাতে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরীকে সরকারের মর্যাদাপূর্ণ ‘সিআইপি’ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি হিসেবে ২০২১ সালে নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সাথে তার ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভিন্ন ভিন্ন খাতের শিল্প নেতাদের উল্লেখযোগ্য অবদান ও দক্ষ পরিচালনাকে সম্মানিত করার লক্ষ্যে সরকার সিআইপির স্বীকৃতি দেয়া থাকে।

সম্প্রতি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত জমকালো এক অনুষ্ঠানে রূপালী চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন কৃষি মন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। শিল্পী মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা।

সিআইপি হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘শিল্প প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসাবে শিল্প-বান্ধব বিভিন্ন আইন কানুন অনুমোদনের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসাবে কাজ করতে পারে শিল্প মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনের ফলে ব্যবসায় পরিচালনা আরো সহজ হয়ে উঠতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশী বিনিয়োগে স্থাপিত মাল্টিন্যাশনাল শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জন্যও সিআইপি হিসাবে স্বীকৃতি লাভের সুযোগ থাকা দরকার। এর ফলে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরো অবদান রাখতে তারা আরো উৎসাহিত হবে।’

রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে বাংলাদেশ সরকার সক্রিয়ভাবে দেশের বাণিজ্যিক নেতা ও শিল্প বিশেষজ্ঞদেরকে নিজ নিজ খাতে উদ্ভাবনী বিকাশে উৎসাহিত করে চলেছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সরকার বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প থেকে সর্বোচ্চ ৬০ জন ব্যক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনোনীত করে থাকে। সিআইপিরা বিভিন্ন সরকারি প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন, যা তাদের নেতৃত্ব ও ব্যবসায় পরিচালনার কাজকে আরো সহজ করে তোলে। বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি হিসাবে তার অনন্য ভূমিকার জন্য প্রশংসিত রূপালী চৌধুরী আগেও আট বার এ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়েছেন।