ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সিরিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। গেল ১৩ মে ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ঘোষণা দেন, সিরিয়ার প্রাক্তন নেতা বাশার আল-আসাদের আমলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া হবে।
সেই প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার (২৩ মে) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট একযোগে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এর ফলে সিরিয়ায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
বিভাগটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
একই সাথে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ২০১৯ সালের ‘সিজার সিরিয়া সিভিলিয়ান প্রটেকশন অ্যাক্ট’-এর আওতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ছাড়পত্র জারি করেছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো ও আঞ্চলিক অংশীদাররা সিরিয়ার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আরও সক্রিয় হতে পারবে।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই অনুমোদনগুলো দেওয়া হয়েছে, যেন সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়।’
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা প্রথম প্রকাশ করেন। রিয়াদে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এটা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সুযোগ। আমরা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছি।’
পরবর্তী তিনি সিরিয়ার নতুন নেতা আহমেদ আল-শারার সাথে সাক্ষাৎ ও করমর্দন করেন।