বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

সিলেট-তিন আসনের ফলাফল প্রত্যাখান ইহতেশামুল হক দুলালের

সোমবার, জানুয়ারী ৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

সিলেট: নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাসী হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন সিলেট-তিন আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ প্রার্থী ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।

তিনি রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিটির পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলেন।

পাশাপাশি, ভোটের দিন বিকাল পৌনে চারটায় সামগ্রিক অনিয়ম বিবেচনায় তিনি নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে নেন বলেও দাবি করেন।

ইহতেশামুল হক দুলালের অভিযোগ, তার নির্বাচনি এলাকার প্রায় ৪৭টি ভোট কেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। বিকাল তিনটার দিকে নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোট প্রদানের উৎসব শুরু করেন।

এছাড়া, ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধর, হুমকি প্রদান ও পেশীশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এসব ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারকালে তার কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়। পোস্টার, লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। নির্বাচনের কয়েক দিন পূর্বে নৌকার প্রার্থীর কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের ঘোষণা, তোরণ নির্মাণসহ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ছিল স্বাভাবিক বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস আর জাল ভোটের উৎসব। সকাল থেকেই তার বিভিন্ন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়া হয় ও কোন কোন জায়গায় ঢুকার পর বের করে দেয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় বালাগঞ্জের বোয়ালজুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা দিলে তার একজন কর্মীকে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে।
শুধু তাই নয়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে অন্যান্য এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই সময় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ট্রাক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে ইহতেশামুল হক দাবি করেন, সোনাপুর কেন্দ্রে সব এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ছাড়া করার ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফলাফল প্রত্যাখান করেন।

ইহতেশামুল হক আরো বলেন, ‘কামালবাজার জালালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি নৌকার প্রার্থীর জন্য সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কারণ, নৌকার প্রার্থী নিজে প্রথম ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করবেন, সেজন্য এই অনিয়ম।’