স্বাস্থ্য ডেস্ক: গ্যাসস্ট্রিকের ব্যথা বলে অনেক ব্যথা এড়িয়ে যাই আমরা। বিশেষ করে নারীদের পিরিয়ড জটিলতার সাথে অন্যান্য সমস্যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা আলাদা করে চিনে ওঠা সম্ভব হয় না। আচানক এক দিন অ্যাপেন্ডিক্সের মারাত্মক ব্যথায় কাবু করে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়ে যায় রোগীর। বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের সংযোগস্থলে বৃহদান্ত্রের সাথে যুক্ত একটি ছোট থলির মত অঙ্গকে অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়।
অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের দেহের একটি অকেজো অঙ্গ। তবে, পৃথিবীর প্রায় পাঁচ শতাংশ মানুষের প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এ অঙ্গটি। অ্যাপেন্ডিক্সের এ সমস্যাটি অ্যাপেনডিসাইটিস নামে পরিচিত। যথা সময়ে অস্ত্রোপচার না করালে বা সময় মত সমস্যা ধরা না পড়লে অ্যাপেনডিসাইটিসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে ‘সার্জিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই, অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা কখনো অবহেলা করা উচিত নয়।
জেনে নিন এর সাত লক্ষণ: শুরুতে তল পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হবে। নাভির চারিদিক থেকে ব্যথাটা ক্রমশ তল পেটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে; বহু সময় তলপেট ফুলে ওঠে। তবে, শুরুর দিকে ব্যথা কম হবে। কিন্তু, ধীরে ধীরে সেই ব্যথা বাড়তে থাকে। খাদ্য খেলেই ব্যথা বেড়ে যায়; এ সময় জ্বর আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে, সকলের ক্ষেত্রে জ্বর আসে না। শরীরের তাপমাত্রা হেরফের করে; খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সমস্যা হয়। সেখান থেকে শুরু হয় বমি; কিছু ক্ষেত্রে রোগীর পেট খারাপও হতে পারে। হাঁটাচলা করলে, বসে ওঠার সময় অথবা সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা হতে পারে; ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে; অ্যাপেন্ডিক্স কোন কারণে ফেটে গেলে পুরো পেট জুড়ে মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয় ও পেট ফুলে ওঠে।
বহু সময় শিশু বা বেশি বয়স্করা ব্যথার সঠিক বর্ণনাও দিতে পারে না। কিন্তু, জটিলতা এড়াতে পেটে ব্যথা তীব্র ও স্থায়ী অথবা থেকে থেকে হলে রোগীকে শক্ত খাদ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন বা মুখে খাদ্য দেয়া বন্ধ রাখুন ও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।