ঢাকা: হজ প্যাকেজের বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এর আগে দায়েরকৃত রিটে এ সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান। বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে নির্ধারণ করা হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমানোর নির্দেশনা চেয়ে গেল ১২ মার্চ হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান। এর মধ্যে ২২ মার্চ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্য ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ছয় লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্য দিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা থেকে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমিয়ে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৮৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন।
পরে ২ এপ্রিল হাইকোর্ট সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে ‘অতিরিক্ত খরচ’ নির্ধারণ করা সংবলিত প্রজ্ঞাপন জনস্বার্থ পরিপন্থী বলে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না ও প্রতিযোগিতামূলক বিমান ভাড়ার ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে হজ যাত্রী বহনে সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে সুযোগ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক এবং হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (হাব) রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ-সৌদি-বাংলাদেশ রুটে প্লেন ভাড়া ৭৬ হাজার টাকা থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা। প্রতি বছর দুই দেশের সরকার হজ যাত্রীদেরকে সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট কিনতে বাধ্য করে। এ কারণে টিকেট কিনতে হজ যাত্রীদের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়।’