শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

২০ বছর জেল খেটে পরিশেষে মুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর আনা

রবিবার, জানুয়ারী ৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র: দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ব্লক ও তৎকালীন সোভিয়েত ব্লকের মধ্যে শুরু হওয়া শীতলযুদ্ধ তখন শেষের দিকে। ওই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থায় (ডিআইএ) ক্যারিয়ার শুরু করেন আনা বেলেন মন্টেস। নিজ দেশের গোপন তথ্য পাচার করতে শুরু করেন কিউবার কাছে। এমন অভিযোগে ২০ বছর জেল খেটে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন ৬৫ বছর বয়সি মন্টেস। খবর ডয়েচে ভেলের।

১৯৮৫ সালে ডিআইএতে কর্ম জীবন শুরু করেন আনা বেলেন মন্টেস। দক্ষতা গুণে খুব দ্রুত পদমর্যাদা বাড়ে তার। একটা সময় তিনি ডিআইএর কিউবা বিভাগের প্রধান বিশ্লেষকের দায়িত্ব পান। 

মন্টেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দায়িত্ব পালনকালে কিউবায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের চারজন গুপ্তচরের তথ্য চুপিসারে হাভানার কর্মকর্তাদের পাচার করেন মন্টেস। তা ছাড়া, কিউবার অস্ত্র সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে খবর রাখে, তারও বিস্তারিত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

এসব অভিযোগে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে মন্টেসকে গ্রেফাতর করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ (এফবিআই)। মন্টেসকে গ্রেফতারে এফবিআইয়ের যে দলটি নেতৃত্ব দেয়, তাতে ছিলেন পিট ল্যাপ নামের এক কর্মকর্তা। 

মন্টেসের মুক্তির পর স্মৃতি হাতড়ে পিট ল্যাপ বলেন, ‘মন্টেসকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন তিনি ছিলেন একদম চুপচাপ। তার হাবভাব ছিল স্টয়িকদের মত, নির্বিকার।’

গ্রেফতারের পর ২০০২ সালে ২৫ বছরের জেল হয় মন্টেসের। টেক্সাসের একটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০ বছর সাজা ভোগের পর সম্প্রতি তাকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে আগামী পাঁচ বছর এফবিআইসহ যুক্তরাষ্ট্রের নানা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারীতে থাকবেন মন্টেস। এ সময় তার ইন্টারনেট ব্যবহার, চলাফেরা সব কিছু নিবিড় নজরদারীতে রাখা হবে। 

২০০২ সালে মন্টেসকে সাজা দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বিচারক রিকার্ডো আরবিনা। রায় ঘোষণায় আরবিনা বলেছিলেন, ‘মন্টেস এমন সব স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করেছেন, যার কারণে পুরো মার্কিন জাতি বিপদে পড়েছে।’ 

তবে মন্টেসকে নিয়ে এখন আর উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কিছু নেই বলে মেনে করেন এফবিআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা পিট ল্যাপ। 

ল্যাপ বলেন, ‘তার (মন্টেস) ওই জীবন আর বাকি নেই। তিনি তাদের (কিউবার) জন্য যা করছেন, তা ওখানেই শেষ। এখন যে স্বাধীনতা পেয়েছেন, তাকে তিনি ফের ঝুঁকিতে ফেলবেন বলে আমার মনে হয় না।’