ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালের শুরু থেকে প্রতি মাসে কিউবা, নিকারাগুয়া, হাইতি ও ভেনেজুয়েলা থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নেয়া একটি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গৃহীত এ সিদ্ধান্ত শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের সরকারি কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভিবাসী গ্রহণের এ কর্মসূচীতে প্রাথমিকভাবে গুরুত্ব দেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয় নেয়া কয়েক হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি বড় অংশ হাইতি থেকে এসেছেন। কিউবা, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা কিছু লোকজনও আছেন তাদের সাথে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসতে ইচ্ছুক ভেনেজুয়েলান নাগরিকদের জন্য গত অক্টোবরে একটি নতুন নীতি প্রণয়ন করেছে ওয়াশিংটন। সেখানে উল্লেখ ছিল- ভেনেজুয়েলার যেসব নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে স্পন্সর যোগাড় করতে পারবেন, তারা দেশটিতে প্রবেশ ও স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করতে পারবেন।
উত্তর আমেরিকার দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্ব পাওয়া যে কোন নাগরিক নিজ দায়িত্বে তার পরিবারের কাছে সদস্যদের সেখানে নিতে পারেন। এ ব্যাপারটিই ‘স্পনসরশিপ’ নামে পরিচিত এবং যে নাগরিক তার পরিবারের সদস্যদের আনবেন- তাদের বলা হয় স্পনসর। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে ইচ্ছুক ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের স্পনসর যোগাড়ের ক্ষেত্রে পরিবারের কাছে সদস্য সংক্রান্ত কোন বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি অক্টোবরের নতুন নীতিতে।
সামনের সপ্তাহে ‘নর্থ আমেরিকান লিডার্স সামিট’ সম্মেলনে যোগ দিতে মেক্সিকো যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্মেলনে অংশ নেবেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সে সময় যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা আছে বাইডেনের।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জো বাইডেন নিজেও। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই জানতে চাই- সেখানে (যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত) আসলে কী চলছে এবং প্রকৃত পরিস্থিতি আসলে কেমন।’