/ 
প্রিন্ট করুন
ঢাকা: বাংলাদেশ ও আফ্রিকান এভিয়েশন হাব খ্যাত ইথিওপিয়ার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের জন্য গেল সপ্তাহে একটি এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (এএসএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আগামী ৮ মার্চ থেকে দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবা ও ঢাকার মধ্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু করবে।
আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আদ্দিস আবাবা-ঢাকা-আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) সোহাগ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট চালানো হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আফ্রিকান এয়ারলাইন্স জায়ান্টের উদ্বোধনী ফ্লাইটে ইথিওপিয়ার পরিবহন মন্ত্রী এবং ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বাংলাদেশ সফর করবেন।’
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের কেন্দ্র আদ্দিস আবাবা থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সব বড় শহরকে সংযুক্ত করায় এই রুটটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাড়ায় নানা কানেক্টিং ফ্লাইট সরবরাহ করবে।
সোহাগ হোসেন বলেন, ‘ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন যুক্তরাষ্ট্রের দশটি ফ্লাইট চালায়, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সময়সূচি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পর শিগগিরই তাদের বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ দিয়ে ঢাকায় প্রতিদিন ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
দুই দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনার পর গেল ৬ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রিয়াদে ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ার সার্ভিস চুক্তিতে সই করে।’
আইসিএও এয়ার সার্ভিসেস নেগোসিয়েশন ইভেন্ট ২০২৩ (আইসিএএন২০২৩), রিয়াদে গেল ৩-৭ ডিসেম্বর ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) এভিয়েশন আলোচনার সাথে সম্পর্কিত বৃহত্তম ইভেন্টের সময় চুক্তিটি সই হয়েছিল।
ইথিওপিয়ার পতাকাবাহী বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ৩১ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোন দেশের মাধ্যমে মালবাহী ফ্লাইট চালিয়ে আসছে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বর্তমানে ঢাকা থেকে অফলাইনে তিনটি সাপ্তাহিক নন-শিডিউল মালবাহী ফ্লাইট চালাচ্ছে উল্লেখ করে সোহাগ হোসেন বলেন, ‘এএসএ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মালবাহী ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেবে।’
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স, ১৪৭টি বিমানসহ, যাত্রী বহন, গন্তব্য পরিবেশন, বহরের আকার এবং আয়ের হিসেবে আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারলাইন্স। পরিষেবা দেয়া দেশের সংখ্যা অনুসারে এটি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম স্থানে রয়েছে।
