শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

শিরোনাম

অঞ্চল চৌধুরীর একক আবৃত্তিসন্ধ্যা ‘হৃদয়ে মানবতা কণ্ঠে কবিতা’

শুক্রবার, নভেম্বর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: মাবনিকতা ও আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র একুশের আয়োজনে ‘হৃদয়ে মানবতা কণ্ঠে কবিতা’ শিরোনামে বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে হয়েছে আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরীর একক আবৃত্তি সন্ধ্যা। অনুষ্ঠান উৎসর্গ করা হয়েছে একুশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ আতাহার ইশরাক রাফি ও হুইসেল ব্লাড লিংকের প্রতিষ্ঠাতা তাপস বড়ুয়ার প্রতি।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন ও জাহেদ আহাম্মদ; শিক্ষাবিদ রীতা দত্ত; নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু; সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সভাপতি আবৃত্তিশিল্প ফারুক তাহের উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান আয়োজন পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন আরকে মিউজিক একাডেমি, পেপার ইয়ারপ্লেইন ও বিজনেস মিডিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জিকু।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অঞ্চল চৌধুরীর জীবনী ভিডিও চিত্রে উপস্থাপন করা হয়। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ‘অঞ্জলি লহো মোর’ গানে; গান করেন আরকে মিউজিক একাডেমির কর্ণধার আরকে জুয়েল চক্রবর্তী। নাচেন সংগঠনের সদস্য উদিতা ভট্টাচার্য্য।

এরপর চন্ডী পড়ার মাধ্যমে শুরু হয় আবৃত্তির মূল আয়োজন। শিল্পী সাময়িক পরিস্থিতি, প্রকৃতি, দেশ, প্রেম, দ্রোহ, ও ইতিহাসমাখা ২৮টি কবিতা আবৃত্তি করবেন। তার পরিবেশনায় ছিল সুপ্রভাত (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), আমার গ্রাম জয়নগর (রবীন্দ্র গোপ), বৃষ্টি প্রিয় মা (আকতার হোসাইন), পাখির সঙ্গে (বিশ্বজিৎ চৌধুরী), রঙ্গশালা (রাম চন্দ্র দাস), শহীদ মিনার গড়বো (ওমর কায়সার), আবার আসিব ফিরে (জীবনানন্দ দাশ), ভালবাসা যাযাবর (তরুণ চট্টোপাধ্যায়), বিদ্রোহী (কাজী নজরুল ইসলাম), পাঁচটিক্কা থইলা (উৎপলকান্তি বড়ুয়া), দুই হতিনর কইজ্যা (উৎপলকান্তি বড়ুয়া), কবিতা (জসীম উদ্দীন), নামকরণ (অন্নদাশংকর রায়), স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হল (নির্মলেন্দু গুণ), ভালবাসি আমি আমার এই দেশ (রাশেদ রউফ), একটি মুজিব (আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী), একটি মোরগের কাহিনী (সুকান্ত ভট্টাচার্য), তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা (শামসুর রাহমান), মানুষ খুঁজি (সুকুমার বড়ুয়া), আলামত (আসাদ চৌধুরী), কর্ণ-কুন্তী-সংবাদ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর), তোমরা নেই তুমি নেই (মাহবুব উল আলম চৌধুরী), এমন একটা সময় ছিল (সংগৃহীত), আমার পরিচয় (সৈয়দ শামসুল হক), বাতাসে লাশের গন্ধ (রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ), কতদূর বাংলাদেশ (শিহাব শাহরিয়ার), জল তরঙ্গ (অরণি বসু) ও সর্বশেষ পরিবেশনা ছিল ছবি (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

অঞ্চল চৌধুরী আবৃত্তি উৎসর্গ করেন তার সহ-ধর্মিনী স্বর্গীয়া শিল্পী বৈদ্যের প্রতি। আয়োজনে সহশিল্পী ছিলেন কাবেরী সেনগুপ্তা (সঙ্গীত শিল্পী), তিলোত্তমা সেনগুপ্ত (নৃত্য শিল্পী), অনন্যা চৌধুরী পিউ (আবৃত্তি শিল্পী), অ্যানি দে (কারুশিল্পী), দীপিতা দেব তমা (চিত্র শিল্পী), প্রাপ্তি দাশ (চিত্র শিল্পী) ও প্রাচী কর্মকার (চিত্র শিল্পী)।

পরিবেশনা শেষে গুণী এই আবৃত্তি শিল্পীকে উত্তরীয় ও স্মারক উপহার তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ফাহিম উদ্দিন। এরপর সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রাম; বোধন আবৃত্তি পরিষদ; উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ; তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ও স্পৃহা আবৃত্তি নীড় ফুল ও উপহারে শুভেচ্ছা জানান।

পরিশেষে সংগঠনের সভাপতি শ্যামল কর্মকারের বক্ত্যব্যের মাধ্যমে অয়োজন শেষ হয়।