শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালা অনুসারে পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের রায়

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালা অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালাটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এই রায় দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

রিটের পক্ষের আইনজীবী রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ের ফলে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে কঠোরভাবে নীতিমালাটি মানতে হবে। আর এই নীতিমালায় অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে পর্যাপ্ত মনিটরিংয়ের কথা বলা আছে। এছাড়া, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সিজারের ক্ষেত্রে সব তথ্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে একটি নীতিমালা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের জন্য ২০১৯ সালের ৩০ জুন নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর নীতিমালা করে হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়।’

রাশনা ইমাম বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের মতে, সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে শতকরা দশ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সিজার পদ্ধতি কোন দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে, এটি প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ ও সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এছাড়া, এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এটি আসলে এলার্মিং রাইজ, এ রেটটার বৃদ্ধি থামানোর জন্যই জনস্বার্থে মামলাটি আনা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে যে প্রাইভেট হাসপাতাল আছে, সেগুলো কোন ধরনের সরকারি মনিটরিং ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সিজারিয়ান সেকশন করে যাচ্ছে। এটা থেকে অনেকের অমানবিক মৃত্যুও ঘটেছে।’

ব্যাপারটি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট।