শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

কর্তৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে

শনিবার, জুলাই ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: দেশে কর্তৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে দিনের ভোট রাতে গ্রহণ করে। সরকার জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হত্যা করেছে। কথিত শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে’ চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে উস্কে দিয়েছে। দেশের নিবন্ধিত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না। নির্বাচনের নামে জাতির সাথে প্রহসন না করে দলীয়ভাবে বিজয়ী ঘোষণা দিলেই হয়, রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করার কী দরকার? আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাপ্রেমী। তাই যে কোনভাবে তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।

শনিবার (১৫ জুলাই) বিকালে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ‘দেশ আমাদের, নির্বাচনও আমাদের। সুতরাং, আমার দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কিভাবে হবে? এখানে বিদেশীদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। বিদেশীদের প্রেসক্রিপশনে রাষ্ট্র ও নির্বাচন পরিচালিত হবে না। দেশের মানুষ নানা সংকট ভোগ করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সংকট আরো ঘুণিভূত হচ্ছে। সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় কলঙ্কিত নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। সংবিধান রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে। তারাই বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল ও অবরোধ করেছে, পাঁচ শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে।’

সমাবেশে রোববার ১৬ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পুরো দেশে থানায় থানায় তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন, সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী সব জেলা ও মহানগরে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই। অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও আশরাফুল আলাম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব আবুল কাশেম, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী হাওলাদার, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন খান, মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মুহাম্মদ হাসমত আলী, নুরুজ্জামান সরকার, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী মাছউদুর রহমান।