/ 
প্রিন্ট করুন
যুক্তরাষ্ট্রের নানা প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের পদগুলোতে নারীদের উপস্থিতির হার পূর্বের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গেল দুই দশকের মধ্যে এ হার প্রথম বারের মত এবার নিম্নমুখী।
২০২৩ সালে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল টোটাল মার্কেট ইনডেক্সে ১৫ হাজার সি-স্যুট পদে নারীদের উপস্থিতির হার ছিল ১১ দশমিক আট শতাংশ। এর পূর্বের বছর এ হার ছিল ১২ দশমিক দুই শতাংশ।
প্রসঙ্গত, সি-স্যুট বলতে একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পর্যায়ের পদগুলো বোঝানো হয়। যেমন- প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
গবেষক ও তথ্য সরবরাহকারীরা বলছেন, ‘এ থেকে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে, গেল বছর পুরুষদের জন্য নারীরা প্রায় ৫৫-৬০টি ‘চিফ’ বা প্রধান পদ ছেড়ে দিয়েছেন।’
যদিও নিম্নমুখীর এ হার খুব সামান্য বা ছোট বলেই মনে হচ্ছে, তবে বেশ কয়েক বছর ধরেই শীর্ষ পদে বা ভূমিকায় নারীদের উপস্থিতির হার বাড়ছিল। যেমন- ২০০৫ সালে এটি ছিল ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ। এর পর থেকে এটি প্রতি বছরই বেড়েছে। ২০২৩ সালে এসে এটি প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ২২ দশমিক শতাংশ।
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের ডেটা ও ইনসাইটসের প্রধান সারাহ কোটল বলেছেন, ‘সি-স্যুটে নারীদের আচমকা প্রতিনিধিত্ব হারানো ‘হতাশাজনক’।
তিনি বলেন, ‘এটি শুধু নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ার গতির ক্ষেত্রে ক্ষতিই নয়, বরং আসনেরও ক্ষতি।’
গবেষকরা বলেছেন, ‘সি-স্যুটে নারীদের প্রতিনিধিত্বের এ ধীরগতি বেশ কয়েক বছর ধরেই।’ অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, চাপ ও ক্লান্তির কথা উল্লেখ করে বহু নারী মহামারির পরে নেতৃত্বের ভূমিকা থেকে সরে এসেছেন।
এসঅ্যান্ডপির সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা পুরুষদের সাথে নারীরা কখন সমতায় পৌঁছাবে, সে ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী বদলে দিয়েছে। গবেষকরা ২০৫৫-২০৭২ সালের মধ্যে সি-স্যুটে লিঙ্গ সমতার পূর্বাভাস দিয়েছেন। ২০২২ সালে গবেষকরা এ ব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এবার তারা যে পূর্বাভাস দিয়েছেন, সেটি পূর্বের পূর্বাভাসের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত বছর বেশি।
সারাহ কোটল জানান, নারীদের শীর্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে সমাজে নারীদের স্বার্থ আরো ভালভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়। শীর্ষ পর্যায়ে নারীদের উপস্থিতি কমার ব্যাপারটি ক্ষণস্থায়ী বলেও মনে করেন তিনি।
