শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

শিরোনাম

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ/ফিলিস্তিনের আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এ মাসেই

মঙ্গলবার, এপ্রিল ৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার (৮ এপ্রিল) বলেছে, ‘জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য হওয়ার ব্যাপারে সংস্থা এ মাসে সিদ্ধান্ত নেবে।’ র্দীঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে। গাজা যুদ্ধ এখন সপ্তম মাসে চলছে। যুদ্ধবন্ধে কাউন্সিলের পদক্ষেপকে ফিলিস্তিন ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে, ইসরায়েল তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে।

নিরাপত্তা পরিষদের ঘূর্ণায়মান সভাপতির বর্তমান দায়িত্বে থাকা মাল্টার রাষ্ট্রদূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার বলেছেন, ‘পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এপ্রিল মাসে এ ব্যাপারে আলোচনা হতে হবে।’

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার যে কোন অনুরোধ প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এখানে ভেটো দিয়ে আসছে ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের পর সাধারণ পরিষদে সেটি অনুমোদন করা হবে। ফিলিস্তিন ২০১২ সাল থেকে বিশ্ব সংস্থায় পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। তারা পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর ধরে লবিং করেছে; যা স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির সমতুল্য হবে।

‘আজ একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ এ কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর সোমবার (৮ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা নতুন সদস্যপদ সংক্রান্ত একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা গেল সপ্তাহে তাদের আনুষ্ঠানিক ২০১১ সালের বিড পুনরায় চালু করার পর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’

রিয়াদ মনসুর সাধারণ পরিষদে বলেছেন, ‘আমরা যা চাই, তা হল রাষ্ট্রগুলোর এ কমিউনিটির মধ্যে আমাদের ন্যায্য স্থান দেয়া। অন্যান্য জাতি ও রাষ্ট্রের সমান হিসেবে বিবেচিত হওয়া এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদায়, শান্তি ও নিরাপত্তায়, আমাদের পৈতৃক ভূমিতে বসবাস করার অধিকার দেয়া।’

পর্যবেক্ষকরা যদিও যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি ভেটোর ভবিষ্যদ্বাণী আশঙ্কা করছেন, যা ২০১১ সাল থেকে ফিলিস্তিনি সদস্যপদের বিরোধিতা করেছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান এমন একটি অবস্থান যা পরিচিত, এটি পরিবর্তিত হয়নি।’ ‘তবে আমরা একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আনতে পথ খুঁজে বের করতে যাচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের আইনের অধীনে, যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে পূর্ণ সদস্যপদ প্রদানকারী জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর তহবিল বন্ধ করতে হবে। যদিও এটি কখনো কখনো বেছে বেছে আইন প্রয়োগ করেছে।

তবে মাল্টার দূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার বলেছেন, ‘কমিটির প্রক্রিয়াটির মূল্য ছিল’ এবং এটি পরবর্তী বৃহস্পতিবার দেখা হবে।’

জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ এ মুহূর্তে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার বদলে ‘ফিলিস্তিন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ব্যাপারে আলোচনায় ব্যস্ত। এটি হবে জঘন্যতম অপরাধের সবচেয়ে জঘন্য পুরস্কার।’

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।