শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে ফরমায়েশি রায়ে সাজার শঙ্কা ফখরুলের

মঙ্গলবার, আগস্ট ১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সরকার ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘অতীতে খালেদা জিয়াসহ আমাদের অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। একই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।’

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে সরকারি নীল নকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তো বা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ, এ মামলা চলার মত কোন আইনগত উপাদান নেই।’

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (২ আগস্ট) দিন ঠিক করেছেন আদালত।

মির্জা ফখরুর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এ মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষী নেয়া হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচার কাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকার দলীয় আইনজীবীরা একাধিক বার হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ সরকার দীর্ঘ দিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ তার মধ্যে অন্যতম। দুদক শুধুমাত্র সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধী দলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আমরা সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি।’

‘আমাদের দলীয় প্রধানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ বছর ধরে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালতে নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। একজন বয়স্ক ও নারী হিসাবে আইনগতভাবে তার জামিন পাওয়ার অধিকার থাকলেও সেই অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

সরকার গেল ১৪ বছরে পুরো দেশে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে আসামি করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

তিনি বলেন, ‘শত শত নেতাকর্মীকে সাজা দেয়া হয়েছে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দানকারী তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। ফের নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সব দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া।’