বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

শিরোনাম

পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব গার্মেন্টস মালিকদের

মঙ্গলবার, মার্চ ৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার এক শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে গার্মেন্টস মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনের নেতারা এ প্রস্তাব দেন। এছাড়া, তারা রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার উপর আয়করের হার দশ শতাংশ থেকে শুন্য শতাংশে নির্ধারণ এবং গ্রিণ কারখানার জন্য করপোরেট করহার দশ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিদেশি ক্রেতারা রপ্তানি আদেশ কমিয়ে দিয়েছে। টাকার অংকে রপ্তানির পরিমাণ বাড়লেও সংখ্যার বিচারে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় উৎসে কর আগের মত ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলে বর্তমানে বিরাজমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সহায়ক হবে এবং তা আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা হোক।’

তিনি পণ্য দ্রুত জাহাজীকরণ ও খালাস করার জন্য অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের (এইও) সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান।

সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- রপ্তানিকে প্রতিযোগী করতে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ১২ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট অব্যাহতি, এইচএস কোড জটিলতা নিরসন এবং ওয়াশিং-ড্রাই মেশিন ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আমদানিতে শুল্ক ছাড়।

রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর কমানোর দাবি জানিয়ে বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘উৎসে করের টাকা সমন্বয় করা যাবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। আপনি যদি অতিরিক্ত টাকা নেন, তাহলে এটা সমন্বয় করার সুযোগ আমাদের মৌলিক অধিকার। এ বিষয়টা বিবেচনা করতে হবে।’

তিনি তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শূন্য ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান, সোলার প্যানেল ও ইটিপি স্থাপনে আমদানি করা রাসায়নিকের শুল্ক ও মূসক ০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।

বিটিএমএ রিসাইকেলড ফাইবার ও ম্যানমেইড ফাইবারসহ সব ধরনের ফাইবারের আমদানি পর্যায়ে যাবতীয় শুল্ক ও মূসক অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাব করেছে।