শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের বলিষ্ঠ ভূমিকার আহবান শেখ হাসিনার

বুধবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিউইর্য়ক: জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসনে এবং এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে তার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শরণার্থী বিষয়ক ইউএন হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি নিউইয়র্কে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহবান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রমের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

গ্রান্ডির সাথে ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারে ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর জবাবে ফিলিপো বলেন, ‘তিনি দ্রুত মায়ানমার সফর করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব।’

ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনারও এ বিষয়ে তার সাথে একমত প্রকাশ করেন।

বৈঠক চলাকালে তারা বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআরের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে একই স্থানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এএ খান কিউসি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা বাংলাদেশ ও আইসিসির মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আইসিসির প্রসিকিউটরকে আশ্বাস দেন যে, মfয়ানমারে রোহিঙ্গা ভিকটিমদের জন্য ন্যায় বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইসিসির চলমান সাথে প্রচেষ্টার বিষয়ে বাংলাদেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

বৈঠকে খান আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এছাড়া জাতিসংঘের হ্যাবিটাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনা মোহম্মদ শরীফ শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এখানে লটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তারা টেকসই নগরায়ন ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য তার সরকারের নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফলতার ব্যাপারে তাকে অবহিত করেন।

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাগুলি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলার আঘাত হানাকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে অভিহিত করেন। মায়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লক্ষ্য করে গোলা বর্ষণ করছে না।

তিনি বলেন, ‘সেই নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকাটি খুব আঁকাবাকা। কখনো কখনো সীমান্ত বুঝা কঠিন। সে কারণে তারা আমাদের সীমান্তের ভিতরে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলা বর্ষণ করছে না, আমাদের সীমান্তের অভ্যন্তরে যে একটি ও দুইটি শেল পড়েছে, তা ভুলবশত পড়েছে।’

মোমেন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ও মায়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা সতর্ক থাকবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় নি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ জানতে চেয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত কোন সঠিক ও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয় নি। তাই আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।’