শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখে পাঁচ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি বিএনপির

শুক্রবার, জুলাই ২৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ঢাকার সব প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে এক দফা আন্দোলনের এ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফার দাবিতে এ মহাসমাবেশ হয়। একই দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির মিত্রদলগুলো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছি এ বেআইনি ও অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। কারণ, তাদের অধীনে জনগণ ভোট দিতে পারে না। বিশ্বও বলছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।’

মহাসমাবেশে ইংল্যন্ডের লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এতে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নেতা আব্দুল্লাহ-আল নোমান, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবদীন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, মনজুরুল আলম সারওয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, আব্দুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, আসাদুল হাবিব দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, শামা ওবায়েদ, মোস্তাক মিয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আফরোজা আব্বাস, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন, এসএম জিলানী প্রমুখ।

মহাসমাবেশ যৌথভাবে পরিচালনা করেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।

মহাসমাবেশ চলার সময় তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। তারপরও নেতা-কর্মীরা তা উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে বসে থাকেন। জনসমাবেশস্থলসহ আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেট পাওয়া যায়নি।

দলের কার্যালয়ের সামনে নয়টি বড় ট্রাকের দুই পাশের ডালা খুলে একটির সাথে আরেকটি একত্রিত করে তৈরি করা হয় মহাসমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ। বিছানো হয় লাল কার্পেট। উত্তরমুখী এ মঞ্চে নেতাদের জন্য ছিল শতাধিক চেয়ার। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য রাখা হয় দুটি আলাদা চেয়ার। মঞ্চের এক পাশে ছিল বিশাল আকারের ডিসপ্লে বোর্ড। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বেঁধে দেয়া সীমানায় ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ আশপাশে টাঙানো হয়েছে দেড় শতাধিক মাইক।

গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য দুটি বড় ট্রাক একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে আলাদা দুটি মঞ্চ।

দুপুর দুইটা থেকে বিএনপির এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। তবে, সকাল দশটায় সমাবেশ শুরুর চার ঘণ্টা আগেই বিএনপির নেতাকর্মীদের জমায়েতে ভরে যায় সমাবেশস্থল।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদের সামনে থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় ও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক হয়ে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। অন্য দিকে, মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে শুরু করে মালিবাগ, মৌচাক, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, বিজয় নগর পানির ট্যাংকসহ নয়াপল্টনের আশপাশের অলিগলিতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়েছেন।

গেল ১২ জুলাই ঘোষিত হওয়া সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘এক দফা’ আন্দোলনের এটি দ্বিতীয় কর্মসূচি। এর আগে তারা গেল ১৮ ও ১৯ জুলাই সারা দেশে মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা করেছে।

মানুষের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় সকাল থেকে নয়াপল্টনের দুই পাশের সড়কেই যান চালাচল পুলিশ বন্ধ করে দেয়। মহাসমাবেশকে ঘিরে রাস্তার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।