শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

শিরোনাম

শেখ হাসিনার সাথে বাইডেনের সৌহার্দ্যপূর্ণ চ্যাট যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক তুলে ধরেছে

রবিবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
একে আব্দুল মোমেন

নয়াদিল্লি, ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ চ্যাট ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে গভীর সুসম্পর্ককে চিহ্নিত করেছে৷ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন ব্যস্ততার বিষয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘তার (বাইডেন) বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সব ইচ্ছা রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এখানে পৌঁছেছেন।

মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মোমেন বলেন, ‘বাইডেন এর আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘গেল ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের একটি খুব সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে ও আগামী ৫০ বছরে এটি আরো শক্তিশালী ও দৃঢ় হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা এর নমুনা দেখেছি।’

এক প্রশ্নের উত্তরে মোমেন বলেন, ‘এটি (অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নৈশভোজসহ দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে বাইডেন, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদের মধ্যে আলোচনা) প্রমাণ করে যে, ওয়াশিংটনের সাথে আমাদের গভীর ও দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে এটি আরও শক্তিশালী করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো সুসংহত করতে খুবই আগ্রহী এবং এ জন্য তারা তাদের লোক পাঠাচ্ছে ও আলোচনা করছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্রের সরকার) আমাদের উপর কোন চাপ দিচ্ছে না; বরং মিডিয়া অতিরঞ্জিত করছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের রাজধানীর প্রগতি ময়দানে ভারত মান্দাপাম আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে জো বাইডেন, শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ১৫ মিনিট কথা বলেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে কথা বলছিলেন, তখন তিনি খুব খুশি ও সম্পূর্ণ উৎ্সাহী ছিলেন এবং আলোচনাটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে হয়েছিল।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার মেয়ে যখন বাইডেনের সাথে কথা বলছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন সেই মুহূর্তের ছবি তোলার জন্য তার সেল ফোনটি বের করেন।

মোমেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার সেল ফোনে একটি সেলফিও তুলেছিলেন।’