বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

শিরোনাম

হরর মুভির মত বিএনপি রাজনৈতিক দৈত্যের দল

শনিবার, এপ্রিল ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘হরর মুভি যখন দেখা হয়, তখন দেখা যায় যে, দৈত্য মানুষ পোড়ায়, আবার সেই পোড়া মানুষের মাংস খায়। বিএনপি যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে খুন করেছে, মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে খুন করেছে, তারা তো দৈত্য। হরর মুভিতে দেখা এসব বিএনপির বেলায়ও প্রযোজ্য। হরর মুভির মত বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল।’

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সিটির দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে একটি দৈত্য সবকিছু খেয়ে ফেলতেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যত দিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে, বিএনপির তত দিন কোন সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু, তাদের এ ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেইনি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেইনি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। বহু পণ্যের মূল্যও কমেছে।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ বিদেশী সহযোগীতা নিয়ে ব্যাংক লুঠ ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পাশ্ববর্তী দেশে যারা এরমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। দেখুন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, এরমধ্যে ব্যাংকের ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদুল ফিতেদর পূর্বে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমূখী প্রচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভাল আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা বহু দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।’

তিনি বলেন, ‘সেই জাহাজের আশেপাশে বিদেশী জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের উপর নানামূখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেই জন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এ ক্ষেত্রে বহু অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকুরি করে ঈদের আগে পরে হিসেব করে তাদের কোন ছুটি হয় না। তারা যায় ছয় মাস কিংবা একরবছরের জন্য। এ জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হত, তারা ঈদুল ফিতরের পূর্বে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদার চেষ্টা করেছিল, বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং সেটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখেও সব সময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোর হাতে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’

তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে, সংবাদ মাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমি সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, রমজানের সময় যে বাজার মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে এবং কিছু কিছু পণ্যের মূল্যও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোন পণ্যের মূল্য বাড়লে সংবাদ মাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোন কোন পণ্যের মূল্য কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।’