সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

চবিতে স্থানীয়দের সাথে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা

শনিবার, মার্চ ১৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত হোসেন ও মায়েশা। এ ঘটনার জেরে সিটির এক নম্বর গেইট এবং রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) চবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা।

সড়ক অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের (১২ মার্চ) ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও তার রিপোর্ট এখনো দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা এখনো নেয়া হয়নি। তাই, তারা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।

শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের এ আন্দোলন চলমান রয়েছে। এছাড়াও, মারধরের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মোটরসাইকেলের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও ফতেপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় বখতিয়ার এবং ওই ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক কর্মীর সাথেও বখতিয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে বখতিয়ারের হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় তিনজন। এ ঘটনার জের ধরেই স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সকলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।