রবিবার, ১২ মে ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ, পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আটক

রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেড়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের প্রবণতা। তারা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে তাবু টানিয়ে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতার পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু, তাদের বিক্ষোভে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এ পর্যন্ত আটক হয়েছে ৫৫০ জনেরও অধিক শিক্ষার্থী। খবর রয়টার্সের।

শিক্ষার্থীদের দাবি, যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে বিনিয়োগ করছে ও গাজা যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের কার্যক্রম যেন বন্ধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘তারা গ্রেফতারের ঝুঁকি নিতে রাজি। কিন্তু, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামাবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গেল সপ্তাহে প্রায় ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া, ইয়েল, ইউসি বার্কলে ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বিক্ষোভগুলো প্রায়শই অনুমোদন ছাড়াই ও তা প্রতিরোধ করতে পুলিশ ডাকা হয়।’

গেল দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকদের নির্দেশে আইন প্রয়োগকারীরা আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টেজার ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। কর্মীরা বলছেন, ‘দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা সজ্জা পরিহিত ও ঘোড়ার পিঠে চড়ে থাকা অফিসাররা টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ভণ্ডুল করেছে।’

এমরি ইউনিভার্সিটিতে একজন অধ্যাপককে মাটিতে ফেলার ও হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ একজন শিক্ষার্থীকে মাটিতে ফেলে ধস্তাধস্তি করছে। প্রফেসর ক্যারোলিন ফোহলিন তাতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।’

বিক্ষোভকারীদের একটাই কথা, তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা জানায়। তারা চায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসরায়েলের সাথে জড়িত সেগুলোতে ও গাজা যুদ্ধে ইন্ধন জোগায়- এমন অস্ত্রে তাদের বিনিয়োগ কমিয়ে আনুক।

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘স্পষ্ট ইহুদি বিরোধীতার কোন ঠাঁই কলেজ ক্যাম্পাসে নেই।’

তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের বাক স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে।