/ 
প্রিন্ট করুন
কুইন্স, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: প্রথম বারের মত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে নিউইয়র্কের কুইন্স বরো প্রশাসন। বরোর প্রেসিডেন্ট ডোনোভান রিচার্ডস্ জুনিয়র কুইন্স তথা নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশিদের বহুমুখি অবদানের প্রতি সম্মান জানাতেই এ উদ্যোগ নেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি নিউইয়র্কে হোম কেয়ার সেবার পথিকৃৎ, মূলধারার রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমাণ্ডার আবু জাফর মাহমুদকে বিশেষ সম্মানায় ভূষিত করেন।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নিউইয়র্কের কুইন্স বরো কার্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি নিউইয়র্কের পাঁচ বারের নির্বাচিত সিনেটর চার্লস শুমার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে চাক শুমার বলেন, ‘কুইন্স যুক্তরাষ্ট্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বরো। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের একত্রে একই ছন্দে বসবাসের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত গড়ে উঠেছে এখানে। এ ক্ষেত্রে, বাংলাদেশি কমিউনিটির বিরাট সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে।’
ডোনোভান রিচার্ডস্ জুনিয়র মুক্তিযুদ্ধের বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভেতর দিয়ে তারা আপন ভূমিকে স্বাধীন করেছেন।’
তিনি আবু জাফর মাহমুদের নানামুখী কাজের প্রশংসা করেন এবং নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশের সব বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানিয়ে বলেন, ‘কুইন্স বোরোতে বসবাসকারী আমেরিকানদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ বাংলাদেশি, এটি আমার জন্য গর্বের।’
অনুষ্ঠানে ডোনোভান রিচার্ডসসের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে কুইন্স বরোর এ নেতা অসাধারণ এক দৃষ্টান্ত গড়লেন। এটি অশেষ আনন্দ ও গর্বের বিষয়। আমরা খুব খুশি, আমেরিকার স্থানীয় থেকে শুরু করে ফেডারেল সরকার পর্যন্ত সব পর্যায়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদার প্রতি সম্মান জানাচ্ছে।’
বরো প্রেসিডেন্টের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আয়োজন করে তিনি বাংলাদেশিদের প্রতি বিরল সম্মান দেখিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে জ্যাকসন হাইটস বিজনেস কমিউনিটির সংগঠক ফাহাদ সোলাইমান, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সাকি ফর সাউথ এশিয়ান উইমেনের প্রধান নির্বাহী সাইদা রশীদ ও শিল্পকলা একাডেমি নিউইয়র্কের সংগঠক মনিকা চৌধুরীকেও সম্মাননা জানানো হয়।
