রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

অভিবাসন আইন/যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ আটকে দিল আপিল কোর্ট

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত অভিবাসন আইন কার্যকরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ আটকে দিয়েছে দেশটির আপিল কোর্ট। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত দ্রুত অভিবাসন আইন কার্যকর করার জন্য টেক্সাস অঙ্গরাজ্যকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়ের ফলে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার অনুমতি পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে, গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আপিল আদালত সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি অভিবাসন আইন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে নাটকীয়তা চলছে। অবৈধ অভিবাসীদের বহিস্কার ও তাদের গ্রেফতারে গেল দুই দিনে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সর্বশেষ রায়ে আপাতত স্বস্তি মিলেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের। যুক্তরাষ্ট্রের আপিল আদালত বলেছে, ‘আইনটি স্থগিত থাকবে। বহিস্কার বা গ্রেফতার করা যাবে না অভিবাসন প্রত্যাশীদের।’

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যুক্তরাষ্ট্রমুখী হচ্ছেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্য হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেন বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশী। ব্যাপারটি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি।

সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতে ও অবৈধভাবে ঢুকা অভিবাসীদের গ্রেফতার ও বহিস্কারে গেল ডিসেম্বরে নয়া আইন জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান অধ্যুষিত ট্রেক্সাস অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট।

সোমবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক সেই আইন কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু, এক দিন যেতে না যেতেই মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টেরই একটি প্যানেল ওই রায় বাতিল করে আইনটি কার্যকরের নির্দেশ দেয়। ফলে, অবৈধভাবে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে চাইলে, আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সন্দেহভাজন মনে হলে তাকে গ্রেফতার করার অধিকার পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সর্বোচ্চ আদালতের এ নির্দেশের ফলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপর রাতারাতি খড়গ নেমে আসে। যদিও এ আদেশে ভিন্নমত পোষণ করেন আদালতের তিন উদারপন্থি বিচারক।

সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের পর গভীর রাতে আপিল কোর্টের একটি প্যানেল ওই রায় স্থগিত করে দেন। ফলে, টেক্সাসের অভিবাসন বিরোধী আইনটি ফের আটকে যায়। এতে নির্ঘুম অভিবাসীদের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে আসে।