মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা তুঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজের অবস্থান পরিবর্তন

শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। পূর্ব থেকেই অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের হামলা সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন। রোববারের (১৪ এপ্রিল) মধ্যে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ব্লুমবার্গের।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সি ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইরানের ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের মাটিতে হামলা চালানো হতে পারে। দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে মিসাইল হামলা চালানোর সক্ষমতা ইরানের আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ভূমধ্যসাগরে পূর্ব দিকে মোতায়েন তাদের দুইটি যুদ্ধজাহাজ স্থান পরিবর্তন করতে শুরু করেছে। সেইসাথে এ অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনাও মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’

এ দিকে, ইসরাইলে হামলা না করতে ইরানকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ইরান শিগগিরই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে। আমি হামলা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য পেতে চাই না। তবে ধারণা করছি, শিগগিরই এ হামলা চালানো হবে।’

বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরাইলকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ রাষ্ট্রটির প্রতি সবরসময় আমাদের সমর্থন থাকবে। ইসরাইলকে রক্ষা করতে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব ও ইরান সফল হতে পারবে না।’

অন্য দিকে, সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

বৈঠকে ইরানের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে আলোচনা করলেও সিদ্ধান্ত কী নিয়েছেন, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। তবে, যে কোন হামলা মোকাবিলায় নেতানিয়াহুর বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়।

ইরান ও ইসরাইলের চলমান উত্তেজনার জেরে নাগরিকদের ওপর ইরান, ইসরাইল, লেবানন ও ফিলিস্তিনে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড।

গেল ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরাইলের বিমান হামলায় সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স আইআরজিসির দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ১১ জন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ইরানের শীর্ষ সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তারা বার বার প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন।