শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের খসড়া প্রস্তাব

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

জেদ্দা, সৌদি আরব: গাজায় ‘জিম্মিদের মুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি খসড়া প্রস্তাব প্রচার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ঠিক আছে, আসলে আমাদের একটি প্রস্তাব আছে; যা আমরা এখনই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে পেশ করেছি। কারণ, এর সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায় ও আমরা খুব বেশি আশা করি যে, দেশগুলো এটিকে সমর্থন করবে।’

তিনি বুধবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরব সফরের সময় সৌদি সংবাদ মাধ্যম ‘আল হাদাথ’কে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এটি একটি শক্তিশালী বার্তা। একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠাবে।’

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক। এর পূর্বে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান থেকে বিশ্ব সংস্থাকে বাধা দিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে ও তার আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু একই সঙ্গে এটা অপরিহার্য যে, বেসামরিক নাগরিকরা যারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যারা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে ভয়ঙ্করভাবে ভুগছে, আমরা তাদের দিকে মনোনিবেশ করেছি। যাতে আমরা তাদের অগ্রাধিকার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা, তাদের মানবিক সহায়তা পাওয়া সুগম করতে পারি।’

ব্লিঙ্কেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারপর বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মিশর ও সবশেষে ইসরায়েল অন্তর্ভুক্ত আঞ্চলিক সফরের প্রথম ধাপে বুধবার (২০ মার্চ) সৌদি আরবে অবতরণের পর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেন।

গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে এটি তার ষষ্ঠ সফর।

ব্লিঙ্কেনের সফর কাতারে আলোচনার সমান্তরালভাবে চলে। সেখানে মধ্যস্থতাকারীরা বুধবার (২০ মার্চ) তৃতীয় দিনের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি সুরক্ষিত করার নয়া প্রচেষ্টায় মিলিত হয়েছিল।

কাতারে আলোচিত পরিকল্পনাটি সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবে। কারণ, জিম্মিদের ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময় ও ত্রাণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।

ইসরায়েলের সরকারী পরিসংখ্যানের এএফপির সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ১৬০ জন নিহত হওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গাজা যুদ্ধ শুরু হয়।
হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। যাদের মধ্যে ১৩০ জন গাজায় রয়ে গেছে বলে ইসরায়েল বিশ্বাস করে। এদের মধ্যে ৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ চালিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, প্রায় ৩২ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু।