/ 
প্রিন্ট করুন
ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের নেতাদের সহায়তা চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিসরের কায়রোয় যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ছেড়ে দেয়া নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছে। কিন্তু, রমজানের পূর্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়। এ প্রেক্ষিতে কায়রোতে নয়া করে আলোচনা শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বলা হয়েছে, ‘মিসরের কায়রোতে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে আলোচনা হবে। তবে, আলোচনায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’-এর প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কারমেলের সঙ্গে সিআইয়ের পরিচালক বিল বার্ণস যোগ দেবেন কি-না তা নিশ্চিত নয়।’
বাইডেন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিসরের প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমিরের কাছে লেখা চিঠিতে চুক্তিতে সম্মত হতে ও তা মেনে চলার অঙ্গীকার হামাসের কাছ থেকে আদায় করার আহ্বান জানিয়েছে।
এর পূর্বে, বাইডেন বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির জন্যে অবশ্যই সবকিছু করা হবে।’
ফিলিস্তিনে সংগঠন হামাস গে ল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচানক বড় ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলীকে খুন ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এখনো তাদের হাতে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।
এ দিকে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে; যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনী বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
