শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা অনুমোদন; বড় ধরনের সংঘাত থেকে পিছু হটল ইরান ও ইসরাইল

রবিবার, এপ্রিল ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

তেহরান, ইরান: ইরান ও ইসরাইল বৃহত্তর সংঘাতের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ দিকে, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরাইলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান সমালোচনা সত্বেও শনিবার (২০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা ইসরাইলের জন্য নতুন করে সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছে। সংবাদ এএফপি

ইরান তার নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইসরাইলের প্রতিশোধ গ্রহণের কথা খারিজ করে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে বৃহত্তর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাকে অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে।

তবে, ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা এ অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সেখানে বিস্ফোরণের পর গাজায় ইসরাইলের হামলা জোরদার করা হয়েছে ও পশ্চিম তীরেও সংঘর্ষ বেড়ে গেছে।

আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ দেশটির জন্য নতুন করে এক হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ সহায়তা বিলটিকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, এটি ‘ইসরাইলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সমর্থন; যা পশ্চিমা সভ্যতাকে রক্ষার সামিল।’

তবে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে।

ইরান এক সপ্তাহ পূর্বে ইসরাইলের ভূখণ্ডে এ প্রথম চালানো সরসরি হামলায় ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করার পর ইসরাইল হুশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেছিল, ‘তারা ইরানে পাল্টা আঘাত হানবে।’

ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গেল ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলার প্রতিশোধ গ্রহণে তারা এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। সেখানে হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সাত সদস্য নিহত হয়। কনস্যুলেট ভবনে ওই হামলা ঘটনায় ইসরাইলকে দায়ী করা হয়।’

এ দিকে, ইসরাইলকে শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে দেখা যায়। ইসরাইলের পাল্টা হামলার পরপরই ইরানি মিডিয়া মধ্য প্রদেশ ইসফাহানে বিস্ফোরণের সংবাদ দিয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘গেল রাতে যা ঘটেছে, তা কোন হামলা নয়।’

তিনি বলেন, ‘এটি ছিল দুইটি বা তিনটি কোয়াডকপ্টারের ফ্লাইট। এ ধরনের কোয়াডকপ্টার আমাদের দেশে শিশুরা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যতক্ষণ না ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সরকারের পক্ষ থেকে বড় ধরনের নতুন কোন দুঃসাহসি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, ততক্ষণ আমরা কোন পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাব না।’

এএফপির সঙ্গে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সিনিয়র পর্যায়ের এক সূত্র জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে এটি কোন প্রতিশোধমূলক হামলা ছিল কিনা, সে বিষয়ে ইসরাইলের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেননি।