মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে পারায় সকলে আনন্দিত

রবিবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি- বাঙলা নববর্ষের প্রথম দিনে দেশবাসী আনন্দিত।’

রোববার (১৪ এপ্রিল) ঢাকার মিন্টো রোডস্থ সরকারি বাস ভবনে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, ‘এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা (জিম্মি থেকে উদ্ধার) ফায়সালা করা নজিরবিহীন। নববর্ষের প্রথম দিনে এ উদ্ধার হয়েছে, তাই আমরা আনন্দিত। শুধু তাদের আত্মীয়-স্বজন নয়, পুরো দেশবাসী খুবই আনন্দিত যে, আমরা আমাদের নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব মেরিটাইম সেক্টরে যারা যারা আছে, সবাই যোগাযোগ রেখেছে তা ফায়সালা করার জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং তৎপর ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে তৎপর ছিলাম।’

‘নাবিকদের মুক্তির সংবাদটি যখন প্রধানমন্ত্রীকে দেই, তিনি শুকরিয়া আদায় করেছেন। ২৩ জন নাবিক জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছেন, এখন তারা নিরাপদ। দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে তৎপরতার মধ্য দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এখন তারা ইউএইর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা (জিম্মি থেকে উদ্ধার) ফায়সাল করা নজিরবিহীন।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই শুনছি- মুক্তিপণের কথা। এটার সাথে আমাদের ইনভলভমেন্ট নেই। এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই। অনেকে ছবি দেখাচ্ছেন, এ ছবিগুলোরও কোন সত্যতা নেই। ছবি কোথা থেকে কিভাবে আসছে আমরা জানি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা যতটুকু হয়েছে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিপিং ডিপার্টমেন্ট, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম উইং, ইউরোপিয়ান নেভাল ফোর্স, ভারতীয় নৌবাহিনী, সোমালিয়ার পুলিশকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সকলের সহযোগিতা করেছে।’

দীর্ঘ সময়ে আলাপ আলোচনার তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি। দীর্ঘ সময় ধরে। এখানে মুক্তিপণের কোন ব্যাপার নেই। আমাদের আলাপ আলোচনা, এখানে বিভিন্ন ধরনের চাপ রয়েছে, সেই চাপগুলো কাজে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। জলদস্যুরা শক্তিমান তা তো নয়। এত দিন যে সময়টা নিয়েছি আমরা, ইউরোপিয়া নেভাল ফোর্সসহ তারা ভীষণ চাপে ছিল। বিশেষ করে সোমালিয়ান পুলিশ চাপে ছিল। তারা জলদস্যুদের হাত থেকে সমুদ্র পথটাকে নিরাপদ করতে চায়। এ জন্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাপোর্টও নিচ্ছে।’

তিনি জানান, ভবিষ্যতে এ রুটটা যেন নিরাপদ থাকে। পুরো পৃথিবীতে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কারণে তাদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, এটা তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে। তারা খুবই সজাগ ছিল। জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টায় ছিল। ‘আন্তর্জাতিক চাপ ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে (নেগোসিয়েশন) হয়েছে। তাদেরও (সোমালিয়ান জলদস্যু) নিরাপত্তার বিষয় ছিল। জলদস্যুরাও নিজেদের নিরাপদ রাখতে চাইবে, এ চাপটা সার্বক্ষণিক ছিল। খুবই চরম পর্যায়ে ছিল- এ জন্যে তারা নেমে গেছে। চাপটা এমন ছিল তারা জলদস্যু ছিল ২০ জন, পরে ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজে অবস্থান নেয়। কি পরিমাণ মূল ভুখণ্ডে চাপ ছিল বুঝতে পেরে সবাই একসাথে বেরিয়ে গেছে। মূল ভুখন্ডে যাওয়ার পর তাদের কি অবস্থা হয়েছিল, তা জানা নেই, সেখানে সোমালিয়ান পুলিশ ছিল।’