মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোন শর্ত মানবে না হামাস

রবিবার, এপ্রিল ৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

গাজা, ফিলিস্তিনি অঞ্চল: ছয় মাসে গড়াল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় ইসরাইলের আগ্রাসন। তবুও থামছে না বর্বরতা। এরমধ্যে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে নয়া করে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছে মিশর। রোববার (৭ এপ্রিল) মিশরের কায়রোতে এ আলোচনা হওয়া কথা রয়েছে। তবে, হামাসের দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া মানা হবে না কোন শর্ত। খবর আল জাজিরার।

গাজায় ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধে রোববার (৭ এপ্রিল)) কায়রোতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বৈঠক। এতে উপস্থিত থাকবেন দেশটির গোয়েন্দা প্রধান। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান বিল বার্নস এ আলোচনায় অংশ নেবেন।

তবে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া অন্য কোন শর্ত মানা হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

হামাসের প্রধান ঈসমাইল হানিয়া জানান, যে কোন আলোচনা হতে হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি, অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।

হামাসের অপর নেতা বাসিম নাঈম আল জানিয়েছিলেন, তারা তাদের প্রধান শর্তগুলো থেকে সরে আসবেন না। যার অর্থ গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে হবে ও ইসরাইলের সব সেনাকে গাজা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বল আমাদের কোর্টে নেই। গাজা উপত্যকায় যারা দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চায় বল তাদের কাছে।’

এ দিকে, গত দুই সপ্তাহ ধরে উপত্যকাটির আল-শিফা হাসপাতালে নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর কামাল আদওয়ান হাসপাতালই হয়ে উঠেছে গাজার উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চিকিৎসালয়। ছোট এ সেবা কেন্দ্রে ভিড় করছেন অসংখ্য রোগী। এ অবস্থায় শনিবার (৬ এপ্রিল) হাসপাতালটিতে পৌঁছায় বেশকিছু সরঞ্জামাদি।

তবে, ইরেজ ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে কিনা, সে ব্যাপারে এখনো কোন সত্যতা মেলেনি। একই দিন অঞ্চলটিতে আকাশ পথে আরো ৮২টন ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ভিডিও প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, মিশরের সাথে যৌথ উদ্যোগে এ সহায়তা পাঠায় দেশটি।

গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজার হামাস। এতে অন্তত এক হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আর ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর থেকে টানা হামলায় গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে খুন করে ইসরাইল। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।