রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

শিরোনাম

হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
জয়নুল আবেদিন ফারুক

চট্টগ্রাম: ‘ভোটারদের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমুচিত উত্তর দেবে।’ বলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে

এতে জয়নুল আবেদিন আরো বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। নির্বাচনের পূর্বেও আপনারা বহু হুমকি দিয়েছেন, এখনও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত সমমনা বিরোধী দলগুলোকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) বিএনপিকে দমন করতে পারবেন না, আমাদের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ও মামলায় জড়িয়েও দমাতে পারবেন না। ভোট বিহীন গঠিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) বিএনপির এজেন্ট বলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন ফারুক।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমার আশঙ্কা, আপনারা কিছু দিন পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককেও (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য) বিএনপির এজেন্ট হিসেবে অভিহিত করবেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও এ দলটি গণতন্ত্রের চর্চা করে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য দমন করতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে পারেনি।’

যেসব সমালোচক বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন, তাদের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে পুলিশ ছাড়াই বিরোধী দলের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মানববন্ধনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘দেশের ৪১ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতার কারাগারগুলোতে এখন এক লাখের বেশি মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের যোগ্য নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে নির্যাতন চালাচ্ছে।

গণ অধিকার পরিষদের নেতারা কারাগারে কীভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও বৈদ্যুতিক শকের শিকার হয়েছেন তার বর্ণনা দেন নুর।

তিনি বলেন, ‘তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নখ উপড়ে দিয়েছে ও হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে। কোন সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা ভাবতেও খুব কষ্ট হয়।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মত বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের আদালত জামিন না দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন নুর।

দ্রুত সব রাজবন্দির মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

জনগণের প্রতি অবিচার না করতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান নুর।