শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

শিরোনাম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ঘিরে উদ্বেগ আরো বেড়েছে

শুক্রবার, জুলাই ২৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউ জার্সি, যুক্তরাষ্ট্র: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রভাব, ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে পুরো পৃথিবীত তুমুল আলোচনা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, এআই নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দিনে দিনে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টিভেন্স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভাগের এক জরিপে এমন মনোভাব ফোটে ওঠেছে।

‘টেকপ্লাস সার্ভে: আ পারসপেক্টিভ অন আমেরিকানস অ্যাটিটিউডস টুওয়ার্ডস আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শিরোনামের জরিপটা পরিচালনা করেছে মর্নিং কনসালটেন্ট নামের একটি গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার ২০০ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জরিপটাতে অংশ নেন। জরিপের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, ২০২১ সালে একই বিষয়ে পরিচালিত একটি জরিপের সাথে বর্তমান জরিপের তুলনা করা। পার্থক্য যাচাই করে দেখা।

নতুন জরিপফলে দেখা গেছে, দুই বছর আগে যে পরিমাণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনকে এআই ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে বলে মনে করতেন, এখন সেই মনোভাব পোষণকারীর সংখ্যা দশ শতাংশ কমেছে। আগের জরিপেও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ এআইয়ের নেতিবাচক দিক নিয়ে সতর্ক ছিলেন। কিন্তু, তারপরও তারা আশা করতেন, নেতিবাচকের চেয়ে এআইয়ের ইতিবাচক দিকই বেশি হবে। কিন্তু, সেই আশায় গুড়ে বালি।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষিত ও উচ্চ আয়ের মানুষের ৪৮ শতাংশ ২০২১ সালে দৈনন্দিন জীবনে এআই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করতেন। বর্তমানে মাত্র ৩৮ শতাংশ মানুষ সেই মনোভাব পোষণ করেন। আগে ৩৭ শতাংশ মানুষ মনে করতেন এআই তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দিবে। বর্তমানে তা পাঁচ শতাংশ কমে ৩২ শতাংশে নেমে এসেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে এআইয়ের ভূমিকা নিয়েও মানুষের বিশ্বাস দুই বছর আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। আগে তা ছিল ৩৭ ও ২৮ শতাংশ। বর্তমানে তা যথাক্রমে সাত ও পাঁচ শতাংশ কমে ৩০ ও ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

ইমেজ, টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম ‘উৎপাদক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (জিএআই)’ নিয়েও মানুষ আগের চেয়ে কম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন। জিএআইরে প্রভাব চাকরিবাজারকে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করবে বলে আগে মনে করতেন ৩১ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে।