শনিবার, ১১ মে ২০২৪

শিরোনাম

প্রথম বার নিউইয়র্কের সৈকতে জোছনা উৎসব বাংলাদেশিদের

শুক্রবার, আগস্ট ৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: নিউইয়র্কে প্রথম বারের মত জোছনা উৎসব করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীরা। রবীন্দ্র উৎসব ও লালন উৎসব কমিটি সোমবার (৩১ জুলাই) নিউইয়র্কের রকওয়ে বিচে এই উৎসবের আয়োজন করে। সহস্রাধিক মানুষ সৈকতে জড়ো হয়ে উৎসবের আনন্দ করেন।

নিউইয়র্কের কোন বিচে একটি অনুষ্ঠানে এত বাংলাদেশির অংশগ্রহণ এই প্রথম। জোছনা উৎসব উৎসর্গ করা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রকৃতিপ্রেমী কালজয়ী লেখক ও কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদকে।

উৎসবের পুরো আয়োজন ছিল ছিমছাম, গোছানো, পরিপাটি ও শৈল্পিক। ঢোলক নজরুল ইসলামের ঢোলের বাদ্যে উৎসব ‍উদ্বোধন করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী তাজুল ইমাম গান করেন। তিনিই উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা। এরপরই সেতার শিল্পী মোর্শেদ খান অপু ও প্রখ্যাত তবলাবাদক তপন মোদকের যুগলবন্দি পরিবেশনা উপভোগ করেন সবাই।

নীলা ড্যান্স অ্যাকাডেমির খুদে শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। উৎসবে গিটার বাজিয়ে শোনান রেহানা মতলুব, কবি বেনজির শিকদারের লেখা পুঁথি পাঠ করেন আনোয়ারুল হক লাভলু, কবিতা আবৃত্তি করেন গোপন সাহা, নজরুল কবীর ও টেক্সাস থেকে আগত কবি বিমল সরকার। এ সময় ভরা পূর্ণিমার গল্প শোনান চিত্রশিল্পী সৈয়দ আজিজুর রহমান তারিফ।

দর্শনার্থীদের তরমুজ, পানীয়, ঝালমুড়ি-চানাচুরসহ বৈকালিক খাবার পরিবেশন করেন শায়লা আফতাব। সংগীত পরিবেশন করেন দিনাত জাহান মুন্নী, শাহ মাহবুব, মরিয়ম মারিয়া, রবিন খান, মাহরুফা তৃণা, কানিজ দীপ্তি, সানজানা তাসমীন, সাগ্নিক মজুমদার এবং তুর্য ও আহনাফের সংগীত দল রেন্ডম তালবাহানা। কোরিওগ্রাফি করেন শান্তনু সাজ্জাদ ও সানজানা তাসমীন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তাজুল ইমাম, উপদেষ্টা শিতাংশু গুহ, নূরুল আমিন বাবু, আহ্বায়ক স্বীকৃতি বড়ুয়া, আশা হোম কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আকাশ রহমান, জ্যামাইকা সেলিম বিরিয়ানীর স্বত্ত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন সেলিম এবং ঢাকা থেকে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক বাবু মার্কস গোমেজ।

উৎসবে রোমান্টিক জুটি বাছাইয়ে গেম শো সঞ্চালনা করেন নাট্যাভিনেতা খাইরুল ইমলাম পাখি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শামসুন্নাহার নিম্মি, শুভ রায়, সাদিয়া খন্দকার, স্বাধীন মজুমদার ও মিহির চৌধুরী।

জোছনা উৎসবে আগত দর্শনার্থীরা এম্ফিথিয়েটার থেকে সৈকতে জল-জোছনা অবগাহনে নামেন। সেখানে সৈকতের বালিতে লণ্ঠন হাতে সবাই গোল হয়ে বসে গান ও আড্ডায় মাতেন।