শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

শিরোনাম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের তত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি ১৪ কংগ্রেসম্যানের

শুক্রবার, জুলাই ২৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, বাংলাদেশকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার ও শান্তি রক্ষা মিশনে র‌্যাবসহ মানবাধিকার হরণকারীদের নিষিদ্ধ করতে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডকে ১৪ কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সন্ত্রাস, নির্যাতন ও বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য আপনাকে চিঠি লিখছি।’

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) লেখা এ চিঠিতে সই করেছেন কংগ্রেসম্যান বব গুড, অ্যানা পলিনা-লুনা, র‌্যালফ নরম্যান, টম পেরি, যশ ব্রেচেন, এন্ড্রু ক্লেড, এইলি ক্রেইন, পল এ গসার, রনি এল জ্যাকসন, ব্রইন বেবিন, করি মিলস, ডাগ লামাফা, র‌্যান্ডি ওয়েবার ও গ্লেন গ্রোথম্যান।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কোন অংশ জাতিসংঘে কোন প্রস্তাব তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করলে তা জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। কূটনীতিকরা কংগ্রেসম্যানদের এ ধরনের চিঠি জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপনের প্রক্রিয়া বলে অভিহিত করেছেন।

১৪ কংগ্রেসম্যান দীর্ঘ চিঠিতে আরো বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াাচ, ফ্রিডম হাউস ও রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসহ বিপুল সংখ্যক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিভুক্ত করেছে। যার মধ্যে ভয়ভীতি, হামলা, মিথ্যা কারাদন্ড, নির্যাতন, গুম ও এমনকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশ ‘সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের দীর্ঘায়িত বিচারের জন্য দোষী।’

‘২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদসহ র‌্যাবের বর্তমান বা সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যা হোক, এ নিষেধাজ্ঞাগুলি সরকারের সন্ত্রাসকে মন্থর করেনি।’

চিঠিতে তারা আরো উল্লেখ করেছে, গেল ৬-৮ মাসে হাজার হাজার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছে। এ বিক্ষোভগুলি প্রায়ই সহিংসতা, নৃশংস হামলার সম্মুখীন হয়েছে। আমরা অত্যন্ত সন্দিহান যে, হাসিনা সরকার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের অনুমতি দেবে। এ কারণগুলির জন্য এবং আরো অনেকগুলি দুর্নীতি, অত্যাচার, সহিংসতা ও অপব্যবহার বন্ধে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলি কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করছি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ অবিলম্বে স্থগিত করার জন্য ব্যবস্থা নিন; শেখ সরকারের বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের তব্যবস্থা নিন। বিশেষ করে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তার সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে; অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) যে কোন সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মোতায়েন করা বন্ধ রাখতে হবে; জাতিসংঘ বিশ্বজুড়ে নিরপেক্ষ সরকারগুলির সাথে সমন্বয়ে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় অংশ নেবে। এতে ভোটারদের ভয়ভীতি, ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি বা ভোটারদের উপর হামলা প্রতিরোধের জন্য শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’

বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে এর আগে গেল ২৫ মে আরো পাঁচ কংগ্রেসম্যানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বব গুড।