শনিবার, ১১ মে ২০২৪

শিরোনাম

সিএনএনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানির মামলা খারিজ

সোমবার, জুলাই ৩১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে দেশটির সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সে মামলা শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে খারিজ করে দিয়েছেন ফেডারেল বিচারক রাগ সিংঘাল। খবর রয়টার্সের।

মূলত সিএনএনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল- নেটওয়ার্কটি তার নির্বাচন জালিয়াতির দাবিকে ‘বড় মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে তাকে অ্যাডলফ হিটলারের সাথে সংশ্লিষ্ট করেছে। তবে বিচারক বলেছেন, সিএনএনের ওই মন্তব্য মতামত ছিল, তথ্য নয়। এর ফলে তা মানহানির অধীনে আসবে না। বিচারক অবশ্য সিএনএনের এ কাণ্ডকে অরুচিকর আখ্যা দিয়েছেন।

যে বিচারক এ রায় দিয়েছেন, ট্রাম্প তাকে নিজেই ২০১৯ সালে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।

বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা বিচারকের সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করছেন যে, ট্রাম্প সম্পর্কে সিএনএনের বিবৃতি অরুচিকর।

‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের প্রতি ভুল আচরণের জন্য সিএনএন দায়ী থাকবে।’ যোগ করেছেন ট্রাম্পের মুখপাত্র।

ট্রাম্প বিবৃতির বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না, তা বলা হয়নি বিবৃতিতে। তিনি মামলাটি করেছিলেন ২০২২ সালের অক্টোবরে। তিনি পাঁচটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন, যেখানে সিএনএন ট্রাম্পের নির্বাচন জালিয়াতির দাবি ‘বড় মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ওই শব্দগুচ্ছ নাৎসি আমলের প্রোপাগান্ডার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হত।

মামলায় বলা হয়, ‘ওই শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে সিএনএন ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের দর্শকদের বাদী ও আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে আপত্তিকর ব্যক্তির মধ্যে সংশ্লিষ্টতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।’

কিন্তু, বিচারক বলছেন, শুধু ‘বড় মিথ্যা’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে আদতে সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে না। কোন যুক্তিসঙ্গত দর্শকের ওই সংশ্লিষ্টতা টানার কথা নয় (উচিতও নয়)।’

২০১৫ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে শামিল হওয়ার পর থেকে একাধিক বার নিজের অপছন্দনীয় গণমাধ্যম সংস্থাকে আক্রমণ করেছেন। বিশেষ করে, সিএনএন ছিল তার প্রিয় লক্ষ্য। ২০২৪ সালের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনেও শামিল হতে চাইছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান শিবির থেকে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে এখন পর্যন্ত তিনিই এগিয়ে। যদিও, তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ও তিনি অভিযুক্তও হয়েছেন।