সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

শিরোনাম

শিগগিরই টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের নিবন্ধন দেয়া হবে

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যে সব আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে, তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

তিনি বলেছেন, ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঐতিহ্যেবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেয়া হবে।’

এ জন্য তিনি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ নির্দেশনা দেন শিল্প সচিব। সভায় শিল্প মন্ত্রণলয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, টাঙ্গাইল জেলার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত হন।

শিল্প সচিব বলেন, ‘টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদির লটকন, সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যে সব আবেদন অনিষ্পন্ন আছে, তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ব্রান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

সভায় টাঙ্গাইলের জেলার প্রশাসক জানান, টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুই এক দিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে। এরমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, এরমধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের জিআই পণ্য ঘোষণা করায় আমরা আইনগত ব্যাপার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। প্রয়োজনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে (ডাব্লিউআইপিও) সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।