মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

হামাস-ইসরায়েল সংঘাত/সেই ৬০০ কোটি ডলার ফের জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র-কাতার

শুক্রবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

কাতার: ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় গেল মাসেই প্রথম দফায় দুই দেশের পাঁচ জন করে বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়াও, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জব্দ করা ছয় বিলিয়ন ডলার সম্পদ ফিরে পেয়েছিল ইরান। জব্দ অর্থও কাতারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা দেয়া হয়। তবে, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ফের আলোচনায় এসেছে সেই ৬০০ কোটি ডলার। এবার কাতারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। অর্থাৎ, ফের ইরানের সেই ৬০০ কোটি ডলার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো হাউস ডেমোক্র্যাটসকে বলেছেন, ‘ইরানের ওই তহবিলে আর কোন অ্যাক্সেস থাকবে না। এই অর্থ নিবিড় তত্বাবধানে কেবল মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।’

অনেকে অভিযোগ করছেন, ইরান এ অর্থ ইসরায়েলে হামলার পেছনে খরচ করেছে। এ ছয় বিলিয়ন ডলার থেকে ইরান হামাসকে অর্থ সহযোগিতা করেছে বলে তাদের অভিযোগ।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইরানকে যে ছয় বিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়া হয়েছে, ইরান এখনো তার একটি ডলারও ব্যয় করতে পারেনি।’

ব্লিঙ্কেন আরো বলেন, ‘হামাসের এ বিশেষ হামলার পেছনে ইরান জড়িত বা ইরান এ হামলার নির্দেশ দিয়েছে- এমন কোন প্রমাণ তিনি এখনো দেখেননি। তবে, অবশ্যই এখানে ইরানের একটি দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে।’

ইরানের বন্দিবিনিময় চুক্তিতে কী ছিল: গেল আগস্টে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির বিবরণ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। সেখানে দেখা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ ইরানের ছয় বিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়ার বিনিময়ে তেহরানের হাতে আটক পাঁচ মার্কিন নাগরিককে দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সাতে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি থাকা পাঁচ ইরানিকে দেশত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়।’

কোথা থেকে এলে এ ছয় বিলিয়ন ডলার: আলোচিত ওই ছয় বিলিয়ন ডলার ইরানেরই অর্থ, যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে জব্দ করা হয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ২০১৯ সালে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর ও ইরানের ব্যাংকিং খাতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার পর ইরানের তেল বিক্রির এ অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে আটকে পড়ে। এ অর্থ জব্দ করে সিউলের ব্যাংক।