মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

শিরোনাম

গাজা দখল হবে ‘মারাত্বক ভুল’

সোমবার, অক্টোবর ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
জো বাইডেন

ওয়াশিংটন/গাজা. যুক্তরাষ্ট্র/ফিলিস্তিন: অবিরাম হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকাকে মৃত্যুকূপে পরিণত করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের হামলায় এই পর্যন্ত গাজার দুই হাজার ৬৭০ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ নয় হাজার ৬০০ জন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সম্ভাব্য স্থল অভিযান চালানোর অপেক্ষায় নেতানিয়াহুর সরকারের সামরিক বাহিনী। গাজা ছেড়ে যেতে ফিলিস্তিনিদেরকে দেয়া আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর পরই স্থল, আকাশ ও সমুদ্র- তিন পথেই ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই নেতানিয়াহু সরকারকে সতর্ক করেছেন বাইডেন। খবর এএফপির

সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিবিএস নিউজ’কে এক ঘন্টার প্রোগ্রামে দেয়া সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, ‘গাজায় যা ঘটেছে, আমার দৃষ্টিতে তাহলো হামাস ও হামাসের বন্ধুরা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’

আমি মনে করি, ‘ইসরাইলের জন্য ফের গাজা দখল করা একটি ভুল। কিন্তু, ভেতরে ঢুকে হিজবুল্লাহ ও হামাসের মত বিদ্রোহীদের ধ্বংস করে দেয়া প্রয়োজন।’

গাজার মানুষদের ছেড়ে যাওয়ার জন্য একটি মানবিক করিডোর তৈরি করতে ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার জন্য সমর্থন করেছেন বাইডেন। তবে, গেল ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালানো হামাসকে নির্মূল করা দরকার।

হামাসের বিষয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র।

সাক্ষাৎকারে সেই ইঙ্গিত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস ফিলিস্তিনি জনগণের সবার প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চাই। আমি নিশ্চিত যে, ইসরাইল জেণেভা কনভেনশন মেনেই কাজ করবে।’

তবে, বাইডেন ইসরাইলের জন্য প্রথমে একবার রণতরী পাঠিয়েছেন ও এখন ফের রণতরী পাঠিয়ে দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বাইডেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি ও তারা প্রেসিডেন্টের ভ্রমণ সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না।’

তবে, বাইডেনের সফর ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বড় বার্তা হিসেবেই দেখা হবে। যদিও বাইডেন হামাসের সাথে সংঘাত ইস্যুতে সংযমের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

এ দিকে, উত্তর গাজার ইসরাইলের সীমানার কাছে বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। গাজাকে ঘিরে রয়েছে ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান ও ভারী সামরিক সরঞ্জাম। এছাড়া, গাজার আকাশে উড়ছে ইসরাইলের যুদ্ধ বিমান।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলের বাহিনী বিবৃতিতে জানায়, বিস্তৃত পরিসরের’ গাজায় অভিযান চালানো হবে। তবে কবে, কখন এটি শুরু হবে সেটি নিশ্চিত করেনি দখলদারদের সেনা।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি রোববার (১৫ অক্টোবর) জানান, খুব তাড়াতাড়িই গাজায় ঢুকবে তাদের সেনারা ও গাজায় গিয়ে হামাসকে ধ্বংস করবে তারা।